সাগর-রুনির খুনের রহস‍্য উন্মোচনে রহস‍্যময় চুরির মহড়া কিসের আলামত!


জাহাঙ্গীর আলম আকাশ ।। সাগর-রুনির ফাঁকা ফ্ল‍্যাটে ডাকাতি নয় চুরির মহড়া দিল পুলিশ! সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির বর্বরোচিত হত‍্যাকান্ডের পর পুলিশ বলেছিল জানালার সেই ছোট্র ফাঁকা জায়গা দিয়ে কারও বের হওয়া সম্ভব নয়। অথচ এখন নাকি তারা আবার মত পাল্টিয়েছে! হায়রে স্বদেশ! দীর্ঘ কুড়ি বছরের সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে একটা চ‍্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চাই প্রশাসনের প্রতি। সাগর-রুনির হত‍্যাকান্ডের ঘটনার সঙ্গে চুরি বা ডাকাতির ঘটনার কোনই সম্পর্ক নেই, বা থাকতে পারে না। পারিপাশ্বর্িক অবস্থা সেটাই নির্দেশ করছে। দোহাই লাগে খুনিদের ধরতে না চাইলে, হত‍্যাকান্ডের বিচার করতে না চাইলেও কোন আপত্তি নেই। কিন্তু ঘটনাটাকে উল্টো দেবার চেষ্টা করবেন না। গত চল্লিশ বছরে শত শত হাজার হাজার মানুষ হত‍্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন এই বাংলায়। কেবলমাত্র একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামে ত্রিশ লাখ মানুষ হত‍্যা করে পাক বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর জামায়াত, ছাত্রসংঘ, আলবদর, আলশামস রাজাকার বাহিনী। কোনটারই বিচার হয়নি।
দেশের প্রাচীন বাংলা দৈনিক ইত্তেফাক এর ১৯ ফেব্রুয়ারির এক রিপোর্টের শিরোনাম হল “গ্রিলকাটা চোরের দিকে যাচ্ছে পুলিশের তদন্ত”। রিপোর্টে বলা হয়, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখন গ্রিলকাটা চোরের দিকে এগোচ্ছে। একজন মাদকসেবী গ্রিলকাটা চোরকে ধরে কাটা অংশ দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে আর বের করে পুলিশ আশ্বস্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। অবশ্য এর স্বপক্ষে এখনও তেমন যুক্তি দাঁড় করাতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। আরেক বাংলা দৈনিক জনকণ্ঠ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। সেটি হলো পুলিশ সাগর-রুনির ভিসেরা পরীক্ষা করায়নি। ফলে এটা জানার উপায় নেই যে খুনিরা হত‍্যার আগে সাগর-রুনিকে কৌশলে বিষ প্রয়োগ বা অন‍্য কোন অজ্ঞানকারক বস্তু প্রয়োগ করেছিল কিনা। সিআইডি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে অস্পষ্ট হাতের ছাপের কথা বলেছে। সবমিলিয়ে কেন জানি মনে হচ্ছে খুনের সব আলামতও ইতোমধে‍্য বিনষ্ট করে দেয়া হয়েছে! খুনি, খুনের আলামত সবকিছুই রহস‍্যাবৃত। সাগর-রুনির খুনের রহস‍্য উন্মোচনে রহস‍্যময় চুরির মহড়া কিসের আলামত, তাও আজ একটি বড় প্রশ্ন? ছবি-ফেইসবুক থেকে নেয়া।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান