সাগর-রুনি হত‍্যাকান্ড: ভোয়ার কাছে করা অনুচ্চারিত একটি প্রশ্ন!


জাহাঙ্গীর আলম আকাশ ।। ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা বিভাগ আয়োজিত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হ্যালো আমেরিকা। বেশকিছুদিন ধরে ভোয়া কতর্ৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগের মাধ‍্যম ফেইসবুকও ব‍্যবহার করছে শ্রোতাদের প্রশ্ন নেয়ার জন‍্য। ব‍্যক্তিগতভাবে আমিও প্রশ্ন পাঠাই, প্রশ্নটি অনুষ্ঠানের প‍্যানেলের কাছে উপস্থাপিত হলে ভালো লাগে। যাহোক এবারের বিষয় ছিলো সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা। বিষয়টির ওপর কতর্ৃপক্ষ শ্রোতাদের কাছ থেকেও প্রশ্নও আহবান করে। আমিও অনেকের মতো প্রশ্ন করেছিলাম একটি। কিন্তু কতর্ৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি। হয়ত প্রশ্নটি ভোয়ার নীতিমালার সঙ্গে খাপ খায়নি তাই তারা নেয়নি। অথবা ভোয়া কতর্ৃপক্ষের কোন পছন্দ অপছন্দও থাকতে পারে প্রশ্নকর্তা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। এর আগেও ভোয়া অন‍্য অনেকের প্রশ্ন প‍্যানেলের কাছে উত্থাপন করে। আমার প্রশ্নে হাত দেয়নি। হয়ত আমার প্রশ্নগুলি কোন প্রশ্নই নয়!
শ্রদ্ধেয় পাঠক আপনাদের কাছে আমার প্রশ্নটি তুলে ধরার জন‍্যই আজকের এই লেখা।
“বাংলাদেশে সাংবাদিক হত‍্যা-নির্যাতনের জন‍্য দুই নেত্রীর অসহিষ্ণু অগণতান্ত্রিক মানসিকতা ও দুবর্ৃত্ত রাজনীতিই দায়ি। কারণ ১৯৮৪ সাল থেকে সাগর-রুনির নৃশং হত‍্যাকান্ড পর্যন্ত ৩১ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এরপ্রায় প্রতে‍্যকটি হত‍্যাকান্ডের পেছনে কোন না কোন ভাবে রাজনীতির সংশ্লিষ্টতা আছে। আর দুবর্ৃত্ত ও দুর্নীতিপূর্ণ রাজনীতির কারণে দেশে সাংবিধানিক বা আইনের শাসন নেই। বিচারালয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে (সে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক)। এমনকি দেশের প্রধান বিচারপতিও রাজনৈতিক বিবেবচনায় নিযুক্ত হয়, সিনিযরিটি ডিঙিয়ে। বিচারবহির্ূভত হত‍্যাকান্ড কেবল একটি অসভ‍্য ও বর্বর সমাজেই চলতে পারে বিরামহীনভাবে। বাংলাদেশ যার নজির। ২০০৪ সাল থেকে সেখানে দুই হাজারের বেশি মানুষ খুন হয়েছেন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা। এজন‍্যও খালেদা-হাসিনা উভয়ই সমভাবে দায়ি! সাংবাদিক হত‍্যা-নির্যাতন থেকে শুরু করে সব অবিচার, বৈষম‍্য, অন‍্যায‍্যতা আর অমানবিকতার পেছনে রুগ্ন ও অসুস্থ‍্য রাজনীতিই দায়ি। শ্রদ্ধেয় প‍্যানেল এব‍্যাপারে কী মনে করেন?”
লিখিত আর্টিকেল পড়ার মতো করে এক শ্রোতা প্রশ্ন করেন। যা ছিল বেশ বড় এবং ভোয়া তা গ্রহণ করে। অথচ আমার উপরোক্ত প্রশ্নটি প‍্যানেলের কাছে উপস্থাপন করেনি ভোয়া।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান