জাহাঙ্গীর আকাশ ॥ আমি ক্ষুব্ধ। আমার করার কিছুই নেই। এজন্য নিজেকে বড় অসহায় মনে করি। ওরা অস্ত্রধারী। ধর্মকে ওরা ভুল ব্যাখ্যা করে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের খুন করলে ওরা নাকি “বেহেস্ত” এ যাবে। ওরে বোকার দল, তোরা জানিস না যে, পৃথিবীতে কোন ধর্মই মানুষ হত্যা অনুমোদন করে না। তোরা কেবল ধর্মকে ভুল ব্যাখ্যা করে এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে সবাইকে অশান্তির আগুনে ফেলছিস। একবারও কী ভেবেছিস যে, তোদের জন্মদাতা পিতা-মাতা, এবং তোদের স্বজনরাও এই আগুনে জ্বলে-পুড়ে মরছে?
শংকা ছিল ওরা আঘাত হানতে পারে আমাদের সোনার বাংলায়! রাজনীতিকরা ক্ষমতার স্বার্থে স্বীকার করুক বা নাই করুক, মনে হতো ওরা আছে সর্বত্র। আমার আশংকাই আজ কাঁদালো আমাদের সবাইকে। ১৬ কোটি মানুষ আজ শোকাহত। আমি হতবাক হইনি। কিন্তু আমার হ্রদয় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। আমার আর সহ্য হচ্ছে না এমন নৃশংসতা, বর্বরতা আর এতো কান্না।
ওরা কিভাবে বেড়ে ওঠলো, কারা ওদেরকে জন্ম দিলো, কিভাবে এই কাপুরুষের দল ফ্রাংকেনস্টাইনে পরিণত হলো, কেন আজ গোটা বিশ্বজুড়ে ওরা ওদের অমানবিক নৃশংসতার ডাল-পালা ছড়িয়ে দিচ্ছে? বোধকরি, এসব প্রশ্নের উত্তর সবার জানা। আর এসবের উত্তর খোঁজার জন্য আজ আমার “ডিজিটাল কলম” কম্পিউটারে লিখতে শুরু করেনি। আমার ক্রোধ, আমার ব্যথা, আমার কষ্ট, আমার যন্ত্রণা আমাকে তাড়িত করে বেড়াচ্ছে। আমি আজ উন্মাদ, আমার মন আজ অশান্ত! এই তাড়না, হ্রদয়ের রক্তক্ষরণ কমানো আর অশান্ত মনকে শান্ত রাখার ব্যর্থ প্রচেষ্টা থেকেই আমার এই নড়ে ওঠা।
প্রধানমন্ত্রি বলছেন, অপরাধীদের শেকড় খুঁজে বের করা হবে! আমরা কী তবে জানি না যে অপরাধীদের শেকড়টা কোথায়, নাকি গেটা বিশ্বের কাছেই এটা দিবালোকের মতো পরস্কার “জঙ্গি”দের কে সৃষ্টি করেছে, কোন স্বার্থে? বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রসহ বহু রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একাধিক জোট ও সংস্থা জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা বা দমন করতে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কোন ইতিবাচক ফল কি বিশ্ববাসী দেখতে পাচ্ছে?, এককথায় না। কার্যত রাজনৈতিক ও সামরিক উভয় ব্যবস্থাই সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে পারছে না। এর কারণ কি বিশ্ববাসী জানে না? নিশ্চয়ই এটা পরিস্কার যে, বৈশ্বিক এই যুগে সব রাষ্ট্র, সব দেশের একটা “ব্যবসায়িক স্বার্থ” জড়িয়ে যাচ্ছে এই সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে খতম করার সত্যিকারের একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাবার প্রশ্নে! এর ফল হিসেব নৃশংসভাবে মানুষ হত্যার কলেবরটা বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। বিশ্বের কোন দেশটি আজ নিরাপদ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ এর বাইরে, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন আজ?
প্রাকৃতিক তেল, গ্যাস আর জ্বালানি আজ বিশ্ব রাজনীতির এক বড় হাতিয়ার। আর এই হাতিয়ার বা সম্পদ যেসব দেশে আছে তার প্রায় সব ক´টি দেশেই আত্মঘাতি বোমা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও হানাহানি অবিরামভাবে চলছে। এর সাথে আছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার এক উন্মত্ত নেশা। এই ক্মতার নেশাকে পাকাপোক্ত করতে গিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ তাদের অবস্থানকে সংহত করছে প্রতিনিয়ত।
কাজেই দেশে কোন “জঙ্গি” বা “আইএস” নেই এমনটা বলে দায় এড়ানোর কোন সুযোগই নেই। মানুষের আজ বদ্ধ ধারণা যে, সরকার যতই বলুক ওরা নেই, এদেশেরই মদদদাতারা এসব করাচ্ছে, এমনটা করে কেবল সন্ত্রাসীরাই আস্কারা পাবে তাদের জালটাকে বর্ধিত করার! গুলশানের পৈশাচিক বর্বরতার ঘটনার মধ্য দিয়ে একটা বিষয় এখন পরিস্কার যে, ওরা এখন আমাদের সোনার বাংলায় তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
দুই রাত ধরে ঘুমোতে পারছি না। স্বদেশের মাটি ছেড়ে আছি বহুদূরে। নিজের তাগিদে বা ইচ্ছায় দেশ ছাড়িনি। দেশের মাটিতে শরীরটা নেই বটে, তবে হ্রদয়টা আমার পড়ে আছে সেখানেই। আশা করেছিলাম, এবার বোধহয় রাজনীতির চোখ খুলবে স্বদেশে। ঘটনার পরপরই রাজনীতিকদের কথাবার্তা এবং ভাষণ-বক্তৃতায় তেমনই একটা আশা জন্ম নেয়। কিন্তু সময় যতই গড়াতে থাকলো, আমার আশাগুলিও নিরাশার অতল তলে হারিয়ে যেতে বসলো। কথায় বলে, “কুকুরের লেজকে যতই সোজা করে টেনে ধরি না কেন তা ছেড়ে দেয়ার সাথে সাথেই বাঁকা হয়ে যায়”! না, আমার দেশের রাজনীতিকরা কুকুর নন। কিন্তু এই রাজনীতিকরা (সবাই নন, অধিকাংশই…) সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটামাত্রই তার দায় একে অন্যের ওপর চাপানোর একটা প্রতিযোগিতায় নামেন।
এবারের ভয়ংকর বর্বরতার ঘটনাটির পরে রাজনীতিকরা দেশের স্বার্থে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় না দিয়ে দেশের মানুষের জন্য, দেশের স্বার্থকে মাথায় নিয়ে দেশের ভাবমূর্তিকে ধরে রাখে একযোগে কাজ করবেন, বলে মনে একটা স্বপ্ন বুনেছিলাম। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন ভেঙ্গে চুরমার তে চলেছে। রাজনীতিরা তাদের সেই পুরনে “বদঅভ্যাস” এ ফিরে যেতে বসেছেন। তারা এখন পরস্পরকে দোষারোপ করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন।
এই যে “দোষারোপের রাজনৈতিক সংস্কৃতি” তা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে কী আমার আমাদের রাজনীতিকরা সোনার বাংলাকে বাঁচাতে পারবে? নাকি স্বদেশের ভুমিকেও সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদের উর্বরমাটি বানানোতে এই “দোষারোপের সংস্কৃতি” সহায়কের ভূমিকা পালন করছে?
পুলিশের মহাপরিদর্শক বললেন, হামলাকারীরা (নিহত পাঁচজন) সবাই জেমএবি। আমরা জানি, এই জেমএবি যখন বাংলাদেশে তাদের জঙ্গি কার্যক্রম চালাতে শুরু করে বিএনপি-জামাতের শাসনামলে তখনই খবর বেরয়েছে যে এই জঙ্গিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। কিন্তু তারপরও সরকার দেশে জঙ্গি নেই বলে সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জঙ্গিরা যে এতোবড় একটা হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেনি তার কি সার্টিফিকেট আছে সরকারের কাছে?
ঘটনার পর দেশের প্রধান তাঁর ভাষণে বলেছিলেন যে, এই হত্যাকান্ড ও সন্ত্রাসী হামলা ধারাবাহিক জঙ্গি হামলারই অংশ! সবমিলিয়ে এটা এখন আর বলার কোন অবকাশ আছে কি যে, আমাদের সোনার বাংলায় “আইএস” নেই! জঙ্গিরা, সন্ত্রাসীরা, হামলাকারীরা যেই হোক না কেন, দেশের মানুষের অধিকার আছে ওদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার। শুধু আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন আর রিপন বলেই সব পরিচয় বলা হয় না। এমন নামে আরও অনেক মানুষ আছেন, তারাও কিন্তু সামাজিকভাবে হেয় হতে পারে, যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারি দুর্বৃত্তদের পুরো পরিচয় প্রকাশ না করে।
একজন মন্ত্রি বললেন, জঙ্গিরা খালেদার পাশে বসে থাকে। জামা-শিবির, যুদ্ধাপরাধীদের বিএনপি আশ্রয়-প্রশ্রয় ও পাশে আছে বটে, আইএস কিন্তু থালেদার পাশে বসে থাকে না। আর খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি সাফ জানিয়ে দিলেন যে, গুলশান হামলার সঙ্গে আইএস জড়িত নয়! খালেদা জিয়া যখন বললেন, সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনে জাতীয় ঐক্যের কথা জানালেন, তখন আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ বললেন, খালেদাকে আগে মাফ চাইতে হবে!
ওদিকে মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে যে, জীবীত যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে তারা এখনো ছাড়া পাননি, আছেন জিজ্ঞাসাবাদের ভেতর। যেসব মানুষ জীবীত উদ্ধার হয়েছে তারা সবাই যে নৃশংসতা ও বর্বরতা স্বচোখে দেখেছে। এমন একটা নৃশংসতা যে চোখে অবলোকন করে অস্ত্রের মুখে জিম্ম অবস্থায় তার যে ট্রমা সৃষ্টি হয় তার থেকে বেরিয়ে আসাটা খুব সহজ নয়। এই অবস্থায় তারা এখন আবার জিজ্ঞাসাবাদের ঝক্কির মধ্যে পড়ে গেলো। এসব মানুষের এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি প্রয়োজন, সেই ট্রমা থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে সহায়তা করা। নইলে এসব মানুষ জীবনে এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না। মানুষগুলিকে পরেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতো।
আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ খালেদার জাতীয় ঐক্যের আহবানকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। শুলশানের এতবড় বীভৎসতার ঘটনায় যেখানে আইএস তার সাইটে সরকারের ডেথসংখ্যার পরিস্যখ্যান প্রকাশের আগেই পরিস্কার করে জানিয়েছে কতজনকে তাদের “কমান্ডো” রা হত্যা করেছে, সেখানে হানিফ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন যে, বাংলাদেশ আইএস-আল-কায়দার কোন অস্তিত্ব নেই। যারা এসব সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসী এবং তারাই বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে সন্ত্রাস চালিয়ে সরকারকে বিবৃত করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করছে।
একজন প্রবীণ সাংবাদিক (আওয়ামী সমর্থক) মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন, জামাত-শিবিরের লোকেরা কৌশলে আওয়ামী লীগে ঢুকছে এবং আওয়ামী লীগের বদনাম করছে। মিডিয়ার খবরে দেখা যায়, যৌথবাহিনীর অভিযানে গুলশান জিম্মি অবসান ঘটে। এই অভিযানে ৬ জঙ্গি নিহত, ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ ৫ জন নিহত মানুষের ছবি ও সংক্ষিপ্ত নাম মিডিয়ায় পাঠায়, যাদেরকে চিহ্নিত করা হয় হামলাকারি হিসেবে। পুলিশ যাদের ছবি পাঠিয়েছে হামলাকারি হিসেবে তাদের মধ্যে একজনকে ক্যাফের পাচক যার নাম সাইফুল বলে দাবি করেছে তার পরিবার। আইএসের সাইটেও এই লাশের সঙ্গে মিলে এমন কোন ছবি দেখা যায়নি বলে অনেকেই বলছে। জিম্মিউদ্ধার অভিযানে ৬ জন নিহত হবার খবর জানানো হলেও পুলিশ ৫ টি লাশের ছবি প্রকাশ করলো কেন? এই প্রশ্নটি এখন নানাভাবে আলোচিত হচ্ছে।
অনেকে মনে করছে, জঙ্গিরা বাংলাদেশে একটা আতংক ও ভীতিকর অবস্থা তৈরী এবং তাদের উপস্থিতি জানান দিতেই দেশের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গাটিকেই তারা তাদের হামলার টার্গেটে নেয়। জঙ্গিরা তাদের টার্গট পুর্ণ করতে সাময়িক হলেও সফল হয়েছে বলেও অনেক বিশ্লষক মনে করছে।
শুধু অস্তিত্ব নেই, ওরা করেনি, এটা দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ বলে সবকিছু চালিয়ে দেয়াটা ববোধহয় কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা এখন ভাবার সময়। আর যা বলছেন তার একটা সুস্পষ্ট প্রমাণ ও তথ্য থাকা চাই, নইলে মানুষ এমন গতানুগতিক কথায় আস্থা পাবে না। এই দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মানুষ আশা করে সরকার এই বীভিষীকাময় হামলার ব্যাপারে প্রতিপক্ষ ঘায়েল নয় বরং প্রকৃত সত্য উৎঘাটন করে এমন জঘন্য ঘটনা যাতে আর না ঘটতে পারে সেদিকটাতেই গুরুত্ব দেবে।
বাংলাদেশের বর্তমান সরকার একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে, এবং বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। যে সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে এবং চলছে তারা সকলেই স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য। বাহাত্তরের মূল সংবিধান অনুযায়ী এসব যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দল দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকারই পাওয়ার কথা না। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের গণহত্যা এবং জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। মানুষের প্রত্যাশা ছিল মুক্তিযুদ্ধের নের্তৃত্বদানকারি রাজনৈতিক দলটি দেশে বাহাত্তরের মূল সংবিধানকে পুনর্বহাল করে দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ ও সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম প্রথা বিলোপ করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সামনে এগিয়ে নেবে। কিন্তু এই দলটি ও তাদের জোট দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকলেও সেটি করেনি। অনেকে মনে করে, বাহাত্তরের মূল সংবিধানকে পুনর্বহালের ক্ষেত্রে এই রাজনৈতিক দোদুল্যমানতা দেশে জঙ্গিবাদকে বিকশিত হতে খানিকটা হলেও সহায়তা করেছে। বাহাত্তরের মূল সংবিধান প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের অবস্থান এখনও পরিস্কার নয় বলে অনেকে দাবি।
পরিশেষে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৭ বিদেশী ও তিন বাংলাদেশী এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তার আত্মার শান্তি প্রত্যাশা করছি। একই সাথে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আমরা আশা করি তদন্তকারি দলগুলি গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন এক জঙ্গি এবং জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ঘটনার পেছনের প্রকৃত ইতিহাসটাকে জানতে পারবে এবং দেশ ও বিশ্ববাসির সামনে সেটা পরিস্কার করবে।
সবশেষে আমি বলবো যেসব মানুষ ধর্মকে অবমাননা করে, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদের দীক্ষা নিয়ে মানুষ হত্যা করে তথাকথিত “খিলাফত” প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা আসলে “ইসলাম” এবং অন্য যেকোন ধর্মেরই শত্রু। এরা অমানবিক, মুর্খ এবং কাপুরুষ। এদের অবস্থান হবে নিশ্চিত “দোজখ” এ (যদি বেহেস্ত-দোজখ বলে কিছু থাকে আসলে!!!
You must be logged in to post a comment.